Khoborerchokh logo

মাদ্রাসা সুপারের লোমহর্ষক দুর্নীতির তথ্য ফাঁস । 535 0

Khoborerchokh logo

মাদ্রাসা সুপার,শহিদুল ইসলাম



পীরগঞ্জ-রংপুর থেকে 
 রংপুরের পীরগঞ্জের ছাতুয়া দ্বিমূখী দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন/ভাতা ঠিক রাখতে দীর্ঘদিন ধরে কলেজ পড়ুয়া ছাত্র/ছাত্রীদেরকে অর্থের বিনিময়ে ভুয়া ও সঠিক নামে দাখিল পরিক্ষা দেয়ার নজিরবিহীন দুর্নীতির প্রমান পাওয়া গেছে।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র ও এলাকাবাসী কর্তৃক জানা যায়, ছাঁতুয়া মাদ্রাসা সুপারের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির কারনে এলাকাবাসী উক্ত মাদ্রসায় স্থানীয় অভিভাবকগন ছাত্রছাত্রী ভর্তি করাতে চায় না, সেই সাথে দুর দুরান্তরের অভিভাবকগনও। ফলে মাদ্রাসা সুপার শহিদুল ইসলাম বিভিন্ন কলেজ পড়ুয়া এস এস সি, এইচ এস সি এবং স্নাতক পাস ছাত্র/ছাত্রীদের অর্থের বিনিময়ে ভাড়া করে পিএসসি, জেএসসি ও দাখিল পরিক্ষা দিয়ে ছাত্র/ছাত্রীর পাসের কোটাপূরন পুর্বক লক্ষ লক্ষ সরকারী টাকা আত্মসাৎ করে আসছেন বলে জানায়, মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা লুৎফর রহমান ও পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি ও দাতা সদস্য শফিকুর রহমান রহমান।
গত বুধবার সকালে সরেজমিন গিয়ে এই লোমহর্ষক দুর্নীতির প্রমান পাওয়া যায়। দেখা যায় সানজিদা খাতুন রোল নং-৪৯৯০৯৯৫, সে ২০১৮ ইং সনে জানকিপুর দ্বিমুখি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেএসসি পাস করার পর আবার ২০১৯ ইং সনে ছাঁতুয়া মাদ্রাসা থেকেও জেডেসি পাস করানো হয়েছে। মিরাতুল জান্নাত রোল নং-২০১১৫২ সে ২০১৯ সনে টুকুরিয়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করার পরও ২০২০ ইং সনে অত্র মাদ্রাসা হতেও দাখিল পাস করানো হয়েছে। মেরাতুল জান্নত রোল নং-১৬০৫৬৮, সে ২০২০ ইং সনে চৈত্রকোল দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি পাস করার পরও অত্র মাদ্রাসায় ২০২০ ইং সনের ৫ম শ্রেনীর পিএসসি পরিক্ষার জন্য রেজিঃ পুর্বক মনোনিত রকা হয়েছে। এলাকাবাসীরা জানায়, পিছনের কয়েক বছরের পরিক্ষায় পাসের তথ্যের সঠিক তদন্ত করা হলে আরও শত শত ছাত্র/ছাত্রীর এ রকম লোমহর্ষক অনিয়ম বেড়িয়ে আসবে।
উল্লেখ্য, অত্র মাদ্রাসা সুপার কর্তৃক প্রায় ১মাস পর্বেও ১জন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী ও আয়া পদের নিয়োগকে কেন্দ্র করে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার নিয়োগ বানিজ্যে করেছে বলেও অভিযোগ এলাকাবাসীর। তাছাড়া চাকুরি দেয়ার নাম করেও ৭জন ব্যক্তির নিকট আরও প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে, যা নিয়ে ইতিমধ্যে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগও দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। 
এ ব্যাপারে মাদ্রাসা সুপার এ কে এম শহিদুল ইসলাম ও সভাপতি রফিকুল ইসলামের সাথে কথা হলে তাহারা বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠান এবং আমাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা।
 উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল মোমিন বলেন, বিষয়টি অভিযোগ আকারে পাওয়া যায়নি, তবে বিষটি খতিয়ে দেখা হবে।
অপরদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেসবাহুল হোসেন এর সাথে মুঠোফোনে কথাহলে তিনিও অনুরুপ কথা বলে।
এলাকাবাসী এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে মাদ্রাসা সুপারের অনিয়ম ও দুর্নিতীর শাস্তিমুলক ব্যবস্থাসহ শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে এনে প্রতিষ্ঠানটি রক্ষার দাবি জানিয়েছেন।


সম্পাদকঃ আলমগীর কবীর, ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মনিরুজ্জামান। উপদেষ্টা সম্পাদক পরিষদঃ শাহিন বাবু । অস্থায়ী কার্যালয়ঃ নাওজোড়, বাসন, গাজীপুর মেট্রো পলিটন, গাজীপুর।
যোগাযোগঃ ০১৭১১৪২১৪৫১, ০১৯১১৮৮৯০৯৩, ই-মেইলঃ khoborersomoy24@gmail.com, web: www.khoborersomoy.com